Life story and activities of Sadhu Ramchand Murmu
সাধুরামচাঁদ মুরমু
সাধুরামচাঁদ মুরমুকে সাঁওতালি কাব্য সাহিত্যে ‘কবিগুরু’ বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অধুনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শিলদার নিকটবর্তী কামারবাঁদি গ্রামে বাংলা ১৩০৪ সালের (ইংরেজী ১৮৯৭ সাল) বৈশাখ মাসের ১৬ তারিখে এই মহান কবির জন্ম। পিতার নাম মোহন মুরমু এবং মাতা কুনি মুরমু। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ভাই দুবরাজ মুরমু, মেজ ভাই ধনঞ্জয় মুরমু, তার ছোট (সেজ) টি বোন। নাম মুগলি এবং সবার ছোট হলেন কবি সাধুরামচাঁদ মুরমু।
১৯০৬ সালে তাঁকে গ্রামের স্কুলে ভর্তি করা হয়। বাল্যাবস্থা থেকেই মেধাবী থাকায় খুব সহজেই নিম্নবুনিয়াদ অর্থাৎ L.P পাস করেন এবং আরো দু বছর বাদে উচ্চ বুনিয়াদ বা ইউ. পি. পাশ করেন। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় ভীমপুর এম. ই. স্কুলে। মেদিনীপুর জেলার ভীমপুরে মিশনারীগণ সাঁওতাল ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই আবাসিক স্কুলটি স্থাপন করেন। মেদিনীপুর তথা সংলগ্ন বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সাঁওতাল ছেলেমেয়েরা এই ভীমপুর স্কুলে পড়তে আসত। এই ভাবেই সাধুরামচাঁদও এখানে পড়তে এসেছিলেন। জানা যায়, এই স্কুলে পড়াশুনার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ, কাঠের কাজ ও চাষের কাজও ছাত্রদের শেখানো হত। পুরোনো রেকর্ড থেকে পাওয়া যায়, সাধুরামচাঁদও ভালোভাবেই ছুতার মিস্ত্রির কাজ, তাঁতের কাজ, বিভিন্ন কারিগরি কাজ ভালভাবে শিখেছিলেন। লেখাপড়াতেও তিনি ছিলেন পারদর্শী। দু বছরে মিডল বাংলা পাশ করেন। তখনও ভীমপুর এম. ই. স্কুল হাইস্কুলের অনুমোদন না পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সাধুরামচাঁদকে গ্রামে ফিরে আসতে হয়। অত্যন্ত গরিব এবং নিকটবর্তী অঞ্চলে হাইস্কুল না থাকায় সাধুরামচাঁদকে পড়াশুনা ছেড়ে দিতেহয়। স্কুলের শিক্ষা তাঁর চিরতরে থেমে যায়। যৌবনকালে সাধুরামচাঁদ গান-বাজনাতে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। গ্রাম ও পাড়া প্রতিবেশীদের নাচ গানের আসরে তাঁকে প্রায়ই দেখা যেত। বাঁশি, কিঁদরি খুব ভালো বাজাতে পারতেন। পাশাপাশি গান পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাঁর ছিল জন্মগত প্রতিভা। পরবর্তী সময়ে, তাঁর লেখা গান কবি নিজেই কিঁদরি সহযোগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গাইতেন। ব্যক্তিজীবনে সাধুরামচাদের ছিল দুই বিবাহিতা স্ত্রী। প্রথম পক্ষের নাম মানকা। দ্বিতীয় পক্ষের নাম পুটি। প্রথমার তিন ছেলেমেয়ে । নাম—কালিপদ, চুনারাম এবং ছোটটি কন্যা, নাম কুনি। দ্বিতীয়া স্ত্রীরও তিন সন্তান। দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে দুজনের নাম ধনঞ্জয় এবং ফুতু। মেয়েটির নাম কাকা।
সাঁওতালি সাহিত্যের পর্যালোচনায় সাধুরামচাঁদ মুরমুকে মহাকবি বা কবিগুরু হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কেন না, যে সামাজিক পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে তিনি সাহিত্য রচনা করেন সেই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর রচনার মূল্যায়ন করলে সহজেই রামচাঁদের প্রতিভার সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়।
আসলে তখন ছিল ইংরেজ শাসন। সে সময় সাঁওতালদের ওপর বিভিন্ন ধরনের অকথ্য অত্যাচার, শোষণ, নির্যাতন চলত। সাঁওতালদের ধন সম্পত্তির উপর অন্য জাতির নজর পড়েছে। সাঁওতালদের ধর্ম, সংস্কৃতি, সমাজ ও ঐক্য একেবারে ভেঙে পড়ছে অন্যদিকে খেরওয়ালদের বিচ্ছিন্ন করার জন্য ব্রাহ্মণ্যবাদ-এর প্রচার চলছে। ১৯২৭ সালে চেমেঞজুড়ি নামক স্থানের এক ধর্মীয় জনসভায় খেরওয়ালদের বলা হল—‘আজ থেকে সাঁওতাল, কোল, ভীল, মুণ্ডা ইত্যাদি সম্প্রদায়ের মানুষেরা হল জাতিতে ক্ষত্রিয় এবং প্রত্যেকে ‘রায়’ পদবী ব্যবহার করবে। অমার্জিত পূজার্চনা এবং বিবাহ অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন তারা করবে না।‘ এছাড়াও বিভিন্নভাবে আদিবাসী তথা সাঁওতালদের হেনস্তা করা হত, ঘৃণা করা হত। দোকান থেকে কোন জিনিস ক্রয় করলে তা হাতে হাতে দেওয়া হত না, অস্পৃশ্যতার ভয়ে দূর থেকে ছুঁড়ে দেওয়া হত। খাবারের দোকানে কোন জিনিস খেলে খাবারের পাত্র ধুয়ে দিতে হত। হিন্দু বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ ছিল। প্রবেশ করলে গোবর জল দিয়ে পুরো স্থানকে ধোওয়া হত।
অন্য দিকে, সাঁওতাল সমাজের মানুষও কুসংস্কার, অধর্ম, অনাচারে জর্জরিত হয়ে বিপথে চালিত হচ্ছিল। মদ হাঁড়িয়া খেয়ে জমি, সম্পত্তি পরিবারকে নিঃশেষ করে ফেলছিল। গ্রাম থেকে দূরে ফাঁকা মাঠে সারারাত ধরে নাচগানের আখড়া বা মেলা গজিয়ে উঠছিল। সেখানে আনন্দ করার নামে মহিলাদের মান-সম্মান, ইজ্জত লুণ্ঠন করা হত। এই রকম এক ডামাডোল পরিস্থিতিতে সাধুরামচাঁদ লিখতে আরম্ভ করেন।
সাধু রামচাঁদ মুরমু তাঁর তীক্ষ্ণ তরবারির ন্যায় প্রতিবাদী কলমে ফুটিয়ে তুলতে
লাগলেন অজস্র গান ও কবিতা। গানের মধ্য দিয়ে সাঁওতালদের আত্মসম্মান বোধে আঘাত করতে লাগলেন।
পাশাপাশি আর একটি চিত্র পাওয়া যায়, সাধুরামচাদের সময়ে সাঁওতালদের বিভিন্ন ধর্মে ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছিল। একদিকে হিন্দুদের হিন্দুত্বকরণ প্রক্রিয়া অন্যদিকে খ্রীষ্টান মিশনারীদের খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষিত করার প্রক্রিয়া চলছিল। তিনি এটা মেনে নিতে পারেন নি। সাধুরামচাঁদ দেখলেন যে, মানুষ যখন তার সমাজ, ধর্ম, সংস্কৃতির উপর নির্ভর করার মত কিছু না পায় তখনই সে অন্যের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়। সাঁওতালদের মধ্যেও এই ধরনের অবক্ষয় চিত্র দেখা দেওয়ায় সাধুরামচাঁদ সাঁওতালদের “সারি ধরম” অর্থাৎ সনাতন ধর্মের প্রচার করতে লাগলেন। অশিক্ষিত সাঁওতালদের কাছে তখন ধর্মের বাণী এবং মূল কথা শোনানোর জন্য গান ছাড়া কোন সহজ মাধ্যম ছিল না। এই জন্য তিনি “সারিধরম সেরেঞ পুথি” অর্থাৎ সনাতন ধর্মের গানের বই লিখে গান গেয়ে সাঁওতালদের আদি ধর্মে আস্থা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করলেন। সাধুরামচাদের লেখা গান “দেবন তিঙ্গুন আদিবাসী বীর” (এসো জাগি আদিবাসী বীর) সারা বাংলা, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম ও বাংলাদেশের সাঁওতালদের মুখে মুখে শোনা যায়। সমাজ এবং জাতির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা তাঁর ছিল বলেই এ ধরনের গান তিনি রচনা করতে পেরেছিলেন যা শুনলে সাঁওতালদের মধ্যে অন্য ধরনের অনুভূতি জাগায়। গানটি সাঁওতালদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে আদৃত হয়েছে।
সাধুরামচাঁদ বুঝতে পেরেছিলেন, ভাষা ও সাহিত্য ছাড়া কোন জাতির বিকাশ অসম্ভব। সাহিত্যের বিকাশে জাতির বিকাশ তাই বাড়িঘর আত্মীয় পরিজন ছেড়ে আমরণ সাহিত্য সাধনায় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছিলেন এবং যা দিয়ে গেছেন তার প্রকৃত মূল্যায়ন এতদিন হয় নি। সাঁওতালি সাহিত্যের ধারাবাহিকতাকে বুঝতে সাধুরামচাদের রচনার মূল্যায়ন প্রয়োজন। ধর্ম ভাবনার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন “সারি ধরম” (সত্যই ধর্ম)-এর প্রবক্তা।
পাশাপাশি সাধুরামচাঁদ এও বুঝতে পেরেছিলেন মাতৃভাষায় শিক্ষা ছাড়া কোন জাতির সার্বিক উন্নয়ন অসম্ভব। তাই তিনিই সর্বপ্রথম মাতৃভাষায় শিক্ষার জন্য সাঁওতালি ভাষার স্বতন্ত্র লিপি “মঁজ দাঁদের আঁক” তৈরী করেছিলেন ১৯২৩ সালে। এই লিপি বা বর্ণমালা সাঁওতালি ভাষার উপযোগী হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই বর্ণমালাতেই তাঁর সাহিত্য সম্ভার রচনা করেন।
বাংলা ১৩৭৭ সালে ১৫ই ভাদ্র তারিখের আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত “সাঁওতালী বর্ণমালা ও সাহিত্য” শীর্ষক একটি প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক লিখেছেন— ‘পশ্চিমবাংলার সাধুরামচাঁদ এবং উড়িষ্যার রঘুনাথ মুরমু পৃথক পৃথক ভাবে সাঁওতালী বর্ণমালা তৈরী করেন। সাধুরামচাদের বর্ণমালা সাঁওতাল সমাজেঅপরিচিত এবং অর্থাভাবে এই লিপির ব্লক তৈরী করে প্রচার করা সম্ভব হয়ে উঠে নি। এই বর্ণমালা রঘুনাথবাবুর তুলনায় প্রাচীনতর.....।” ১৯২৩ সালে নির্মিত এই “মঁজ দাঁদের আঁক” লিপিতেই তিনি “সারি ধরম” (শাশ্বত ধর্ম) গ্রন্থখানি রচনা করেন যার খণ্ডিত পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়েছে। সাঁওতালি ভাষা সাহিত্যের বিকাশে সাধুরামচাঁদ যেভাবে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, বোধহয় আজ পর্যন্ত আর কেউ তা করতে পারেন নি। পেটের তাগিদে অথবা বিখ্যাত হবার নেশায় অনেকেই সাহিত্য ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন কিন্তু শুধুমাত্র ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশের জন্য খাওয়া পরার কথা চিন্তা না করে মনপ্রাণ দিয়ে সাহিত্য চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন ক’জন? সাঁওতালি সাহিত্যের ইতিহাসে একজনই আত্মনিয়োগ করেছেন, তিনি হলেন সাধুরামচাঁদ মুরমু।
জীবিতকালে তিনি তাঁর সাহিত্যকীর্তিকে আর্থিক অনটনের জন্য মুদ্রিত আকারে প্রকাশ করে যেতে পারেন নি। তাই দীর্ঘদিন তাঁর পাণ্ডুলিপি অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁরই নামাঙ্কিত “সাধুরামচাঁদ উইহীর বাথান” (সাধু রামচাঁদ স্মৃতিরক্ষা কমিটি) এবং মারাংবুরু প্রেসের কর্ণাধার ড. সুহৃদকুমার ভৌমিকের যৌথ প্রচেষ্টায় তাঁর পাণ্ডুলিপিকে সংগ্রহ করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হয়। গ্রন্থগুলি হল—
Sadhu Ramchand Murmu activities
(১) সারি ধরম সেরেঞ পুঁথি (সারি ধর্ম গানের পুস্তক)। পুস্তকটি তিন খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালে এবং ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয় পুস্তকটির তৃতীয় খণ্ড।
(২) অল দহ অনড়হেঁ (লিখে রাখা কবিতা)। সাধুরামচাঁদ মুরমু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট প্রকাশিত কবিতা সংগ্রহের এই গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে এবং দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালে।
(৩) সাঁওতাল জাতির সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ “লিটী গোডেৎ” প্রকাশিত হয় ১৯৭৯ সালে। সম্পূর্ণ গ্রন্থটি কাব্যাকারে লেখা।
(৪) নাটক “সংসার ফেঁদ” (বিশ্বের ফাঁদ) দীর্ঘদিন অরক্ষিত অবস্থায় থাকার পর স্মৃতিরক্ষা কমিটির তত্ত্বাবধানে এবং ড. সুহৃদকুমার ভৌমিকের সম্পাদনায় ১৯৮২ সালে মারাং বুরু প্রেস মেচেদা থেকে প্রকাশিত হয়।
(৫) “ঈশরড়”। সমাজ-সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক এই গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে। দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবির জন্ম শতবার্ষিকীতে “সাধুরামচাঁদ অনলমালা” (সাধুরামচাঁদ রচনা সমগ্র) প্রকাশ করেন। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে এটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে।
কবির নাম রামচাঁদ মুরমু। তাঁর নামের আগে “সাধু” শব্দ ব্যবহারের কারণএখনও অজানা। তবে কবির সহযোগীদের মধ্যে অনেকে বলেন, বৃদ্ধ বয়সে সংসারের প্রতি কবির বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয় তাই কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির নির্জন কোলে কুঁড়ে ঘর বানিয়ে তাতে একাকী দিন যাপন করতেন। সাধু-সন্ন্যাসীদের মতন জীবন শুরু করেন। দাড়ি রাখেন এবং সাদা কাপড় পরিধান করা শুরু করেন। জপ-তপই তাঁর জীবনের মূল উদ্দেশ্য হয়ে পড়ে। সাধুর মতন জীবনযাপন করার জন্য তাঁর নামের আগে “সাধু” শব্দের ব্যবহার হয়ে আসছে। কবি, সাধু-দার্শনিক, শিল্পী, প্রকৃতি প্রেমিক, সমাজ সেবক, সংস্কারক ও গবেষক সাধুরামচাঁদ মুরমু বাংলা ১৩৬১ বঙ্গাব্দের ২৯শে অগ্রহায়ণ দেহত্যাগ করেন। ইংরেজী সাল ছিল ১৯৫৫।
সাঁওতালি সাহিত্যে বিশেষতঃ কাব্য সাহিত্যে সাধুরামচাঁদের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ‘ঠার’ বলে যাকে ব্যঙ্গ করা হত সেই সাঁওতালি ভাষায় কবিতাকে ছন্দে চালিত করা যায় এবং ভাব-ভাষা ও কাঠামোগত দিক দিয়ে আধুনিকতাকে ছোঁয়া যায় তা সাধুরামচাঁদ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। নির্দ্বিধায় বলা যায়—সাঁওতালি কাব্যসাহিত্যে সাধুরামচাঁদ একটি মাইলস্টোন।